ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে: ভূমিমন্ত্রী

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে: ভূমিমন্ত্রী
জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ ভূমি দখলকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তৈরি ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ভূমির অপ্রতুলতার কথা মাথায় রেখে সরকার প্রথমবারের মতো অকৃষিজমিতেও সিলিং রাখার বিধান করেছে। প্রাথমিকভাবে ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন’-এ ৪০ বিঘা সিলিং (সর্বোচ্চ সীমা) এর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বৃস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৩’-এ ভূমি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত কার্য অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইনে এমন বিধানও রাখা হবে, যেন বৃহৎ শিল্প স্থাপনে অকৃষিজমির সর্বোচ্চ সীমা কোনো বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রে বিশেষ আবেদনে সরকার অকৃষিজমির ঊর্ধ্বসীমার অতিরিক্ত শিল্প স্থাপনে অনুমোদন দিতে পারবে। অন্যদিকে কৃষিজমি সুরক্ষা, অকৃষিজমির সর্বোচ্চ সীমার বিধান, খাদ্যনিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে করা ‘ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন’-এর খসড়াও আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

ভূমিমন্ত্রী এ সময় আরও যোগ করেন, ‘দলিলাদি যাঁর, জমি তাঁর’ এ ভাবনা থেকেই ভূমি অপরাধ আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। কেউ যত বছরই জোর করে কোনো জমি দখল করে রাখুক না কেন, যথাযথ দলিলাদি ছাড়া বেআইনি দখলদারের মালিকানা এ আইনে কখনোই তা স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। আইন প্রণয়নের পর জমি দখলসংক্রান্ত হয়রানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। ভূমি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আজকের কার্য অধিবেশনে ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবু বকর ছিদ্দীক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল বারিকসহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।