সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার পর্যায়ক্রমে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয়করণের বিষয়ে যৌক্তিকতা,
কার্যকর নীতিমালা তৈরি, আর্থিক সংশ্লেষ এবং সরকারের সক্ষমতা যাচাই করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ একটি নীতি নির্ধারণী বিষয় হওয়ায় বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলে কমিটিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বলা হয়, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

কমিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি নির্ধারণ করে প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করে দ্রুত প্রজ্ঞাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

কমিটি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলকে (বিএসি) উচ্চ শিক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড ও অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে একাডেমিক উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, আব্দুস সোবহান মিয়া, এম এ মতিন ও গোলাম কিবরিয়া টিপু অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ১৮তম বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন অগ্রগতি, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের সমস্যা ও সমাধানের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।