পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের বিপিএল ছাড়তে বলেছে পিসিবি
ঢাকায় দ্বিতীয় পর্ব শেষে এখন সিলেট-পর্বের অপেক্ষা বিপিএলে। ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সিলেটে হবে খেলা, এরপর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। তবে ঢাকার ওই পর্বের আগেই বিপিএলে থাকা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে এমন।
বিপিএলে এবার প্রতিটি দলেই আছেন একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার, দাপটও দেখিয়ে চলেছেন তাঁরা। সিলেট–পর্ব শুরুর আগে যে তিনটি সেঞ্চুরি দেখেছে বিপিএলের এবারের আসর, সব কটিই করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটও পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজের।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠানোর মূল কারণ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ২০ জানুয়ারি এ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগের আগামী মৌসুমের সূচি প্রকাশ করে পিসিবি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনুরোধে বিপিএল থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠাচ্ছে পিসিবি। আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বিপিএল ছাড়তে বলা হয়েছে তাঁদের।
বিপিএলের এ মৌসুমে কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলছেন শুরু থেকেই। কয়েকজন যোগ দিয়েছেন পরে। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান আগের রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলে পরদিন ঢাকায় নামেন, এরপর হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম গিয়ে খেলতেও নেমে যান। রংপুরে নিয়মিত অধিনায়ক নুরুল হাসানের অনুপস্থিতিতে শোয়েব মালিক অধিনায়কত্বও করেছেন।
এবার বিপিএলে সবচেয়ে বেশি পাঁচজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আছেন কুমিল্লাতে। রিজওয়ান ছাড়াও কুমিল্লায় আছেন খুশদিল শাহ, হাসান আলী, নাসিম শাহ ও আবরার আহমেদ। সর্বশেষ ম্যাচে প্রথমবারের মতো নেমেই ঝলক দেখিয়েছে ফাস্ট বোলার নাসিম। ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে সে ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন আরেক পাকিস্তানি—খুশদিল শাহ।
তবে পিএসএলের কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের আগেভাগেই ফিরে যেতে হবে, এমন ইঙ্গিত ছিল আগেই। এ ব্যাপারে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘দেখেন, খেলোয়াড় এভাবেই আসবে যাবে, সেটা টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বুঝেছি। আমি যদি প্রস্তুতি নিয়ে থাকি, তাহলে অন্য খেলোয়াড় চলে আসবে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেই ঝামেলা। আমার মনে হয় আমাদের প্রথম দুটি ম্যাচে হারের পেছনে এটা একটা কারণ, পরের ম্যাচে কে আসবে না আসবে কীভাবে খেলব। হাতে যেটা আছে তা নিয়ে ভাবি নাই। পরের ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের ২ পয়েন্ট দরকার। পরের ম্যাচেও তাই। আগে থেকে দুশ্চিন্তা করতে চাই না, কে থাকবে না থাকবে। এটা আগে থেকেই চিন্তা করে রেখেছি, কে আসবে কে যাবে। ঠিক জায়গায় ঠিক খেলোয়াড় পেয়ে যাব আশা করি।’
তবে রিজওয়ান আসার আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের বিপিএলের শেষ পর্যন্তই পাবেন তাঁরা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু বিপিএলের প্লে-অফ, ফাইনাল হওয়ার কথা ১৬ ফেব্রুয়ারি।